By Sutithi Chakraborty
একদিন ভোররাতে, সুয্যি মামার সাথে,
আকাশে উঠল ফুটে একটি লেখা -
"এখনও সময় আছে, যা শুধরে যা!”
নানা দেশের আকাশে, নানান ভাষা,
একই সারমর্ম, হুমকি ঠাঁসা;
ধরাবাসী হতবাক, সবাই ভীষন অবাক,
জ্ঞাণীজনে খুঁজতে বসেন ব্যাখ্যা -
কে এর প্রেরক, এ কেমন বার্তা?
ক্ষোভ-ঝরা লাল কালি, মেঘ করে ফালি ফালি,
আকাশের গায়ে যেন দগদগে ঘা;
"এখনও সময় আছে, যা শুধরে যা!”
ধার্মিক এক রাজা, জমায়েত করে প্রজা,
ঘোষিলেন, "জেগে গেছে শয়তান;
তবে কোনও ভয় নেই, প্রতিকার গড়লেই,
মন্দির একখানা আলিশান।”
আরেক নৃপতি তিনি, গর্জে ওঠেন, "জানি!
বেশ জানি এ কাদের ফন্দি!
আমারই আকাশ জুড়ে, এভাবে হুমকি ছোঁড়ে?
বিরোধী দেশের এ অভিসন্ধি!”
বীর আরেক সম্রাট, করে ওই লেখা পাঠ,
উঠলেন বুকখানি বাজিয়ে;
"দেখ্ নিন্দুক যত, আমার ক্ষমতা কত,
রেখেছি আকাশে লেখা সাজিয়ে।”
আরেক ভূপতি কন, “শুধরানো প্রয়োজন,
অর্থ লাগবে তাতে বেশুমার;
তাই তো এখন থেকে, সকল প্রজাদিগকে,
দিতে হবে দুইগুণ আয়কর।”
যুযুধান দু’ নরেশ, পেয়ে এই সন্দেশ,
অঙুলি নাচিয়ে একে অন্য,
বলে, “ওরে নরাধম, জমি ছাড়্, অক্ষম!
ওই বাণী শুধু তোর জন্য।”
আরেক রাজামশাই, লেখা পড়ে রেগে কাঁই,
ঢাকলেন আকাশ কালো কাপড়ে,
"আমার অনুমতি ছাড়া, ও লেখা পড়বে যারা,
গর্দান নেব জেনো সাদরে"
দুনিয়ার প্রজাগণ, জণ যারা সাধারন,
লেখা দেখে ঝাঁকি দিল স্কন্ধ;
“রাজারা চালুক গুটি, আমরা তো চুণোপুঁটি
শিখেছি রাখতে মুখ বন্ধ।”
পরদিন প্রতূষ্যে, প্রবল ঝড়ের রোষে,
পৃথিবীর বুক হলো তোলপাড়;
মুছে গেল সেই লেখা, হলো না কিছুই শেখা,
রয়ে গেল যুদ্ধ ও হাহাকার।