পুত্র কন্যার বিভেদহীন সমাজের আশা – Delhi Poetry Slam

পুত্র কন্যার বিভেদহীন সমাজের আশা

By Soumya Chakraborty 

জন্মতে বাধা না পেয়ে 
পৃথিবীর মাটিতে আছড়ে পড়েই
কান্নায় ভেঙে পড়ে শিশুরা 
খুশীতে আশ্বস্ত হয় সকলেই।
ছেলে হওয়ার খুশিতে মা যখন বিহ্বল 
পরিবারের বাকীরা তখন দেখতে ব্যস্ত আদল।
চোখ দুখানি দাদুর মতো, নাকটা তো বাবা
হাতের আঙুল পিসীর মতো বলতে নেই বাধা।
মার কী কোথাও ছাপ থাকে না? প্রশ্ন জাগে মনে 
মা কী শুধুই জন্মদাত্রী ভাবে আনমনে।
হঠাৎ খোকা কেঁদে ওঠে মার বুকেতে শোয় 
দুগ্ধ পানে মত্ত সে যে নিবিড় সেই আশ্রয়।
মাও তো বড় ক্লান্ত ঘুমেতে চোখ ভারী
স্নেহে বাৎসল্যে জীবন, টানেতে ভারী নাড়ী।
পাশের খাটে মায়ের কোলে ফুটফুটে এক কন্যা
তিন নম্বর কন্যা সে যে চোখে অশ্রুর বন্যা।
আনন্দাশ্রু নয়কো সে যে দুঃখে মন যে ভারী 
কন্যা সন্তান জন্মের শোক মন মানতে নারি।
ছুটিও হয় একই সাথে বিষণ্ণ সেই মা
কন্যা সন্তান কোলে নিয়ে ঘরেতে দেয় পা।
পুত্র সন্তান কোলে প্রবেশ সবার চোখের আলো
আদরের সেই পুত্রটি কে সবাই বাসে ভালো।
অনাদরের কন্যাটি তো ভবিষ্যতের নারী 
দেশ ও দশের কন্যা সে যে সর্ব গুণে ভারী।
অতি আদরের পুত্রটি তো বয়সে বড়ো হোলো  উত্তরাধিকার খেতাব তাকে পরিবারই দিলো।
বিদ্যা কর্ম গুণে কন্যাটির প্রখরতার আলো 
পূত্রটি বংশগতির প্রাচুর্যেই সীমাবদ্ধ রইলো।
মেয়ের গুণে মাটি যখন গর্বভরে চায়
মেয়ের প্রশংসায় তার মনটি প্রফুল্ল যে হয়।
ছেলেটি ব্যস্ত সামলাতে পারিবারিক সম্পত্তি 
মেয়েটির সাফল্যের সামনে যেন তা একরত্তি।
পুত্র কন্যার বিভেদ যেন সামাজিক এক রীতি 
পুত্র হোক বা কন্যা, রয় যেন পারিবারিক প্রীতি।
পুত্র কন্যার বিভেদ হারায় সমাজ পায় মুক্তি 
পুত্র কন্যা সমান এ তো সামাজিক এক চুক্তি।


Leave a comment