By Simantini Bhattacharya
গাছ যেভাবে ঢেউয়ে ঢেউয়ে
জমিয়ে রাখে বয়েস,
সেভাবে তোমাকে জমাই;
পত্রে-পতত্রে-জালকে-বল্কলে।
খসে পড়া পাতায় মর্মর তোলে ফল্গুকাল।
তার সে ঢেউয়ে জমতে জমতে তুমি
বালুচর বানাও আমার সাগরতটে।
রোদ্দুরমাখা সে সব বালিতে মরুর অধিকার।
শেষমেশ উটের কংকালে তোমার চাঁদ আটকা পড়ে।
হিম যেভাবে ঘড়ির কাঁটার
শব্দ ছলে ঝরে,
সেভাবে তোমাকে ঝরাই;
নারকেল পাতা থেকে রাতের টিনের চালে।
কাঁটায় কাঁটায় রক্তাত তুমি
আছারি-পিছারি খাও মন্দার-শিমূল-পলাশে।
উৎসবের নখ-দন্ত-পেশী গাছ উপরে ফেলে।
প্রমথিত পাঁপড়ির সে সব তোলপাড়ে ঝড়ের অধিকার।
শেষমেশ উত্তমাশা অন্তরীপে আমার সপ্ত-ডিঙ্গা ডোবে।
মহামারী যেভাবে শকুনের ডানায়
আকাশটাকে দেখে,
সেভাবে তোমাকে দেখি;
গুরিয়াল চোখে অতলান্ত ডোবার জলে।
দেখতে দেখতে তুমি
মস্ত দুপুরের পরে সন্ধ্যে হও।
জোছনায় আমি চালবাটায় আঁকি ধানের ছড়া, লক্ষ্মীর পা।
বাড়ন্ত গার্হস্থ্যের সে সব আলপনায় পিঁপড়ের অধিকার।
শেষমেশ চাল-চুঁয়ানো জলে আমাদের ঘরকন্না ভাসে।