By Shramana Mandal
১||
বছর আটের, ফুলের মতন মেয়েটার—
সারা শরীর যন্ত্রনায় জর্জরিত,
যোনি দিয়ে পড়ছে হিংস্রতার রক্ত,
হাতে তার তখনো চকলেটটা ধরা,
চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে ক্রমাগত ।
সামনে দাঁড়ানো পশুটাকে—
সে মানুষ ভেবেছিলো।
২||
মা-কুকুরটার চোখের জলের দাম দেবে কে?
নির্বাক প্রাণীটার মনে তৈরী হওয়া—
অপূরণীয় ক্ষতির দায় নেবে কে?
মৃত শাবকগুলির মুখে তখনো বিস্কুটের গুঁড়ো লেগে,
চায়ের দোকানের দু'পায়ের জানোয়ারটাকে,
নিষ্পাপ কুকুরছানাগুলি, মানুষ ভেবেছিলো।
৩||
বিড়ালটি,দগ্ধ শরীরের যন্ত্রণায় কাতর,
একলা আকাশের নিচে—
শেষ নিশ্বাসটা এখনই এলে সে বাঁচে।
দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসছে অনবরত।
অনুষ্ঠান বাড়ির ধনী জীবগুলোকে,
সে মানুষ ভেবেছিলো।
৪||
সুন্দরী মেয়েটির আর্তনাদে কাঁপছে সারা আকাশ ,
তার পুরোনো ছবির উপর পড়ছে চোখের জল।
সব counselling যাচ্ছে বিফল..
Acid-attack-এর শিকার হওয়া মেয়েটি—
পুরোনো বন্ধুর প্রেমের আবেদন প্রত্যাখ্যান করার সময়,
তাকে মানুষ ভেবেছিলো।
৫||
বাড়ি ছাড়ার আগের মুহূর্তে পিছনে তাকিয়ে,
করতে ইচ্ছে করলো চিৎকার—
অনেক কষ্টে নিজেকে সামলালো,
হাজারো শুনেছে ধিক্কার..
মাসের ভাড়া দিতে মৃনালবাবুর ঘরে যাওয়ার সময়,
নির্মলা তাঁকে মানুষ ভেবেছিলো।
৬||
সর্বত্রই দেখি দুই পায়ের জীব,
হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে,
মোটা মোটা বই পড়ছে,
গালভরা জ্ঞান দিচ্ছে—
কেউ খাটছে গায়েগতরে,
কেউ খাটছে মাথার জোরে।
এত সব রংবেরঙের মাথার ভিড়ে,
আমি বসে ভাবি নিবিড়ে—
আর প্রচেষ্টায় আছি:
মানুষের খোঁজে।