Ekdin Protidin – Delhi Poetry Slam

Ekdin Protidin

By Nabanita Sarkar

ধর্ষন ধর্ষন ধর্ষন- ধর্ষন করার সময় সে ২ থেকে ৩ বার করে ফেলে
কারণ উটের কুঁজের ন্যায় সে নিজের ক্ষিদে বহন করতে জানে না

ধর্ষন উপকরণ- আপনি পড়ার টেবিলে আমার বুক টিপে দিতে পারেন কিন্তু আমার চোখে চোখ রাখবেন না
ভিড়ের অছিলায় আমাকে জাপটে ধরতে পারেন
কিন্তু আমি চাই আপনার হাত থাকবেনা
কিম্বা আপনি পঙ্গু হন
আপনি শুধু সেই গুহ্যদ্বারটি দেখবেন যেখানে
একমন ফাঁক আছে একমন শূন্যতা

আমি।আমায় প্রনোদিত। আমাদের প্রনীত হয়ে আস্মাকম আবাম অহমে হারিয়ে যাই
যেভাবে তারারা হারিয়ে যায় আকাশগঙ্গায়।
RAPE US KILL US! RAPE US kILL US!
Ah!These ghastly, ugly, filthy bullets.

আমি মনিপুর চিনিনা H.Savitri কে চিনি
যিনি শরীরে আগুন লাগিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন স্টেজের এধার থেকে ওধার
রুপোলী তাপমাত্রায় জাজ্বল্যমান
নিজেকে অনাবৃত করে ফেলেছেন নিজেতে আলোড়িত হতে
আমি Aruna Shanbaug কে চিনিনা তার গলায় কালো ফেট্টিকে চিনি

শুন্য একটি হিমাংক;centigrade scale এ_তার ৩২ডিগ্রি নীচে ফারেনহাইট স্কেলে শুন্যের মাথায় শুন্য বসালে অগনতি অবারিত ফিতার মতো মিশে যায় শুন্যতায়....
০.৯৫ এ ৬টি লেবুর সাহায্যে একটি মোবাইল ফোন আধানপ্রাপ্ত হয়
>=০.২৫ এম্পেয়ার বিদ্যুতে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে পুড়িয়ে ফেলা যায়।
০০৭,০০৮,০০৯ এই ক্রমিক সংখ্যায় আপনি লাইসেন্স অনুমোদিত
রিভলভারে James Bond এর মতো যাকে খুশি তাকে খুন করতে পারেন।

ধর্ষন প্রনালী-
আপনি বাঁ দিকে হাঁটতে পারেন বা ডানদিকে কিংবা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাস্তার মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে যেতে পারেন
STOP মানে থামুন
LOOK মানে দেখুন
GO মানে এগিয়ে যান
এই বিশাল রুঢ মজুদার সামনে আপনি ধর্ষন করতে পারেন
আপনি খাবার খান কিংবা গিলেন না
আপনার উদরে কতিপয় মালশা আছে
আপনি ধর্ষন করতে পারেন—— রবারের জুতো পরে পোলভল্টের আদবি কায়দায় ২০ থেকে ৬০ ডিগ্রি এঙ্গেলে

ধর্ষন একটি জরুরি অবস্থা

ক্রিকেট আর স্কচ প্রথম বিশ্বের এই মহাজাগতিক হুল্লোড়ের পর
অন্যের বাড়ির বেড়া ডিঙ্গিয়ে নিজের বাড়িতে ঢোকার আগে যদি এজেন্ট বন্ডের মতো এজেন্ট অরেঞ্জ ছড়িয়ে দেওয়া হয় আপনার হাতে পায়ে মুখে কমলার সমারোহে...

খাড়া হ্যাডার পূত
তোর নাঙের ডগায় খিলান দিয়া ঘুড়াকাপ্পার সাওয়ারির লাখান তুষের ফররা জ্বালামু আর তার জিগিরের আগে পলাস্টিক পুতুলের মতন তোর মাথা ছিড়া নিমু

আকাশে বাড়ি আকাশে বাড়ি শূন্য
শুন্যে—
পয়গম্বর উড়িয়ে দেয় তার কাঁথা
মিসবাহ আউলা বাউলা হাওয়ার
ভুরভুর করে বেরোতে থাকে তাতে পেচ্ছাপের গন্ধ খেতার
যেন দুই পাখি উড়ে যায় উড়ে যায়
যাদেরকে আমি কখনো কিনবো বলে ভেবেছিলাম


Leave a comment