বোধি – Delhi Poetry Slam

বোধি

By Anis Chattopadhyay

 সেখানে হাওয়ায় বালি ওড়ে,
 তিরতির নদী বয়,
 বসন্ত উষ্ণ নয়!
 কুঁড়ের পাশে একটু অঞ্চল -
 - সেখানে গাভি চড়ে!
 
 কিছু ফসল ফলে,
 পুরুষরা কাজ শেষে 
 নিশ্চিন্তে আরাম করে -
 আদর করে নারীকে, শিশুকে।
 
 নদীর ওপর পাড়ে,
 ঘন অরণ্য বিশ্রাম করে -
 বহুকাল ধরে।
 সীমানাহীন অঞ্চলের কিনারায় -
 অশ্বথ বৃক্ষ থাকে পাহাড়ায়!
 
 কৃষকায় মানব হঠাৎ আসে সেথায়,
 মানুষের মুক্তির লোভ পেয়েছিলো তায়।
 বিটপ মূলে সাধনায় রত -
 মানবের মোক্ষ 
 একমাত্র লক্ষ্য!
 
 গাছ দেবতা তুমি,
 মঙ্গল কর সবে,
 প্রার্থনা করে,
 নত আভূমি!
 
 মুখে স্মিত মৃদু হাসি 
 ধরা দিয়েছিলো বোধহয়,
 মৌনতা নিয়েছিল আশ্রয়,
 অনিকেত হৃদয় মাঝে -
 
 পরদিন প্রভাতে -
 এক নারী আসিয়াছিল কাছে,
 মাতা গোতমীর মতো,
 পরমান্ন দিয়েছিলো সেধে।
 
 নৈরঞ্জনায় স্নান করে,
 সন্ন্যাসী নিয়েছিল দেহে, 
 পরমান্ন তুলি গভীর স্নেহে!
 
 সুজাতা কহেছিলো তায়,
 যাহা খুঁজিছ বিশ্বময়,
 তাহা রহিয়াছে - 
 আমার ভোগের সাজে।
 
 দর্বিতে রাখিয়া দুহিতা করিল দহন 
 তণ্ডল, দুগ্ধ, শর্করা, উদক মিশ্রণ!
 সমানুপাতিক মন্থন অন্তে -
 পরমান্ন রূপে অঞ্জলি দিলাম, হে ভন্তে!
 
 গৌতম চাহিয়া দেখিলো -
 নাই, কেহ নাই!
 বৈশ্বানর ক্রিয়া করে 
 নৈরঞ্জনা ক্রোড়ে।
 
 সুজাতা গিয়াছে চলিয়া,
 মূলমন্ত্র তাঁহার রাখিয়া;
 সম্যক দৃষ্টিপাতে, সৎ প্রতিজ্ঞা উছলি উঠে, 
 সৎ বাক্য শব্দ মাঝে, যথার্থ কর্ম পথে,
 চিন্তা সততা পেলে 
 তাহারে ঢালিয়া দিলে 
 সৎ জীবন পাত্রে- 
 অন্তে জন্ম লবে সৎ সমাধির 
 শেষ বেড়াজাল!
 
 তাহার গভীরে আছে,
 লুকানো সিন্দুকে 
 মানুষের নির্বাণের 
 সব মোহজাল!
 
 কাটিলে জালেরে মানুষ -
 পাইবে মুক্তির আশ্বাস,
 লোভিবে মহা-মোক্ষ পথ।
 আসিবে মনেতে তাঁর মান আর হুঁশ।
 
 মার আর আসেনা কাছে,
 জীবন যন্ত্রনা দেয় না আর!
 বোধি লাভ করে মানব-পুত্র,
 অমৃত জাগায় প্রাণে।


1 comment

  • Thanks a lot for this appreciation

    Anis Chattopadhyay

Leave a comment