By Anis Chattopadhyay

সেখানে হাওয়ায় বালি ওড়ে,
তিরতির নদী বয়,
বসন্ত উষ্ণ নয়!
কুঁড়ের পাশে একটু অঞ্চল -
- সেখানে গাভি চড়ে!
কিছু ফসল ফলে,
পুরুষরা কাজ শেষে
নিশ্চিন্তে আরাম করে -
আদর করে নারীকে, শিশুকে।
নদীর ওপর পাড়ে,
ঘন অরণ্য বিশ্রাম করে -
বহুকাল ধরে।
সীমানাহীন অঞ্চলের কিনারায় -
অশ্বথ বৃক্ষ থাকে পাহাড়ায়!
কৃষকায় মানব হঠাৎ আসে সেথায়,
মানুষের মুক্তির লোভ পেয়েছিলো তায়।
বিটপ মূলে সাধনায় রত -
মানবের মোক্ষ
একমাত্র লক্ষ্য!
গাছ দেবতা তুমি,
মঙ্গল কর সবে,
প্রার্থনা করে,
নত আভূমি!
মুখে স্মিত মৃদু হাসি
ধরা দিয়েছিলো বোধহয়,
মৌনতা নিয়েছিল আশ্রয়,
অনিকেত হৃদয় মাঝে -
পরদিন প্রভাতে -
এক নারী আসিয়াছিল কাছে,
মাতা গোতমীর মতো,
পরমান্ন দিয়েছিলো সেধে।
নৈরঞ্জনায় স্নান করে,
সন্ন্যাসী নিয়েছিল দেহে,
পরমান্ন তুলি গভীর স্নেহে!
সুজাতা কহেছিলো তায়,
যাহা খুঁজিছ বিশ্বময়,
তাহা রহিয়াছে -
আমার ভোগের সাজে।
দর্বিতে রাখিয়া দুহিতা করিল দহন
তণ্ডল, দুগ্ধ, শর্করা, উদক মিশ্রণ!
সমানুপাতিক মন্থন অন্তে -
পরমান্ন রূপে অঞ্জলি দিলাম, হে ভন্তে!
গৌতম চাহিয়া দেখিলো -
নাই, কেহ নাই!
বৈশ্বানর ক্রিয়া করে
নৈরঞ্জনা ক্রোড়ে।
সুজাতা গিয়াছে চলিয়া,
মূলমন্ত্র তাঁহার রাখিয়া;
সম্যক দৃষ্টিপাতে, সৎ প্রতিজ্ঞা উছলি উঠে,
সৎ বাক্য শব্দ মাঝে, যথার্থ কর্ম পথে,
চিন্তা সততা পেলে
তাহারে ঢালিয়া দিলে
সৎ জীবন পাত্রে-
অন্তে জন্ম লবে সৎ সমাধির
শেষ বেড়াজাল!
তাহার গভীরে আছে,
লুকানো সিন্দুকে
মানুষের নির্বাণের
সব মোহজাল!
কাটিলে জালেরে মানুষ -
পাইবে মুক্তির আশ্বাস,
লোভিবে মহা-মোক্ষ পথ।
আসিবে মনেতে তাঁর মান আর হুঁশ।
মার আর আসেনা কাছে,
জীবন যন্ত্রনা দেয় না আর!
বোধি লাভ করে মানব-পুত্র,
অমৃত জাগায় প্রাণে।
Thanks a lot for this appreciation